দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে ’এক দেশ এক রেট’ নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে কোন সেবা প্রদানকারী যদি এই বেধে দেয়া ’এক রেটে’ ইন্টারনেট না দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- বিটিআরসি।
এখন থেকে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা না পেলে, ব্যাবহারকারীগণ ১০০ নম্বরে ফোন কল করে কমিশনে অভিযোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন- সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক ’জাকির হোসেন’।
তাছাড়া বিটিআরসির এই লিংকটিতে http://btrc.isslcrm.com/ComplainManagement প্রবেশ করেও অভিযোগ করা যাবে।
তিনি বলেন, কোন সেবা প্রদানকারীর বেধে দেয়া দামে ইন্টারনেট না দেয়ার কেন সুযোগ নেই। আর যদিও কেউ এটা করেন, তখন তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যাবস্থা নেবে বিটিআরসি।
বিটিআরসি আরও জানায়- একটি সংযোগ থেকে সর্বচ্চ ৮ জন গ্রাহক সেবা নিতে পারবেন। এজন্য মাসিক ৫, ১০ এবং ২০ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম যথাক্রমে সর্বোচ্চ ৫০০, ৭০০ থেকে ৮০০ ও ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আইএসপিএবির (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি, ’আমিনুল হাকিম’ বলেন- বেধে দেয়া দামে নির্ধারিত ব্যান্ডউইথে ইন্টারনেট সেবা দিতে সেবাপ্রদানকারীগণের সমস্যা হবার কথা নয়। কিন্তু তারপরেও দেশের কোথাও ’এক রেটে’ সেবা প্রদান করতে সমস্যা দেথা দিলে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দেব।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা এখন শহর ছাড়িয়ে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে বা গ্রাম অন্ঞ্চলেও ছড়িয়ে গিয়েছে। দেশে বর্তমানে প্রায় এক কোটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছেন, যা দেশের মোট ইন্টানেট ব্যবহারকারীর ১৭ শতাংশ। কিন্তু এই গ্রাহকরাই দেশে ব্যবহৃত মেট ব্যান্ডউইথের ৫৮ শতাংশ ব্যবহার করে থাকেন।
ডেইলি বাংলাদেশ।