যেভাবে সময় ও স্বাস্থ্য বাাঁচাবেন স্মার্টফোন ব্যবহারে

বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের প্রতিদিনের নিত্যসঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে। মোবাইল ছাড়া আমাদের ব্যাস্ত জীবন যেন স্থবির প্রায়। বাচ্চা থেকে বুড়ো এবং মাঝবয়সি সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন। আজকাল অনেক জটিল কাজের সমাধান নিমিষেই করে ফেলতে পারে এই আধুনিক স্মার্টফোনগুলো।

কিন্তু স্মার্টফোন প্রতিদিনের কাজকে যতটা সহজ করেছে ঠিক তেমনি সারাদিন এর প্রতি আসক্তির ফলে যেমন সময়ের ব্যপক অপচয় ঘটে, তেমনি বিভিন্ন রকম শারিরিক ও মানসিক রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

তাই আসুন কিভাবে অযাচিত সময় ব্যয় হতে বিরত থেকে কিভাবে নিজের শরীর ও মন ভাল রাখবেন তা জেনে নেই:

অযাচিত নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন:

আপনার মনযোগ আকর্ষণ করতে অ্যাপস গুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম নোটিফিকেশন পাঠায়। ধরূন আপনি পড়তে বসেছেন- এমন সময় আপনার বন্ধুর পোস্টে কে কে মন্তব্য করেছে তারই একটি নোটিফিকেশন ভেসে আসল পর্দায়। ফলে সভাবতই চাইবেন বিস্তারিত দেখে আসতে এবং একই সাথে অন্য বন্ধুদের পোস্টগুলো দেখতে দেখতে আপনি মূল কাজটি থেকে সরে আসবেন যা আপনার প্রচুর সময় নষ্টের কারণ হয়ে দাড়াঁবে। তাই শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন অন রাখুন।

স্প্যাম কল আসলে কেটে দিন:

সিম কম্পানিগুলো ফোনে প্রায়সই স্প্যাম কল দেয়। অনেকে এসব কল ধরেন এবং নানান রকমের প্রোমশনাল ফিচারের ফাঁদে পরেন, টাকাও নষ্ট হয়। যা কিনা পরবর্তিতে বন্ধ করতেও সময় লাগে।

সকল অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলুন:

আপনার প্রত্যহ জীবনে কাজে লাগেনা এমন অ্যাপ ফোনে না রাখাই শ্রেয়। কারণ এসব অ্যাপসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়লে দেখা যাবে আপনি কাজের চেয়ে অকাজেই বেশি ব্যাস্ত হয়ে যাবেন এবং মূল্যবান সময় হারাবেন।

বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট সময় ব্যায় করূন:

অনেকে সারাদিন ব্যাপি লম্বা সময় বিনোদন তথা মানসিক প্রশান্তি অর্জনে কাটিয়ে দেন। আরে ভাই সারাদিন বিনোদন নিলে আপনি কাজ করবেন কখন? স্মার্টফোনের কিছু ভাল ব্যবহারিক দিক ও আছে। সেগুলো থেকে কোন একটি বেঁছে নিন। আপনি অনেক স্কিল শিখার কাজে সময় দিতে পারেন। যা পরবর্তিতে আপনারই উপকারে আসবে। বিনোদনের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করুন।

স্মার্টফোন দুরে রেখে ঘুমান:

অনেকেই ফোন চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়ে। ফোন সাথে না থাকলে অনেকের ঘুমই আসে না। এটি একেবারেই শরিরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ রেডিয়েশন এর প্রভাবে আপনার মাথায় স্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই উচিত হবে নির্দিষ্ট সময় ব্যবহারের পর ফোনটিকে দুরে চার্জে লাগিয়ে ঘুমতে যাওয়া।

এসব বিয়য় মেনে চললে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি যেমন কমবে তেননি সময়ও বাঁচবে।

Leave a Comment